রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৩ বছর বয়সী মেয়েশিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা ওই বাড়ির ১১ বছর বয়সী ছেলে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের বাড়ি থেকে বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। মরদেহের গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার প্যাঁচানো ছিল।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার সকালে ১১ বছর বয়সী ছেলেটির সঙ্গে খেলতে দেখা গেছে শিশুটিকে। দুপুরের পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় তার খোঁজে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহ দেখেন শিশুর মা।
ওসি আরও জানান, নুরুল ইসলাম অনেক আগে মারা গেছেন। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে থাকতেন। স্কুলশিক্ষক হওয়ায় দিনভর বাড়িতে ছিলেন না ছেলেটির মা। ছেলেটি বাসায় একাই ছিল। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে জানিয়েছে, নিহত শিশুর বাবা তাকে বকাঝকা করতেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুটিকে সে হত্যা করেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।