সৌর বিদ্যুৎসহ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দেবে সিঙ্গাপুর। এজন্য একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট’ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ক্লিন এনার্জির বিস্তার, বিনিয়োগ, কারিগরি সহযোগিতা ও তহবিল সংগ্রহসহ বৈশ্বিক অবস্থা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করে সিঙ্গাপুরের পরিবহন ও ব্যবসা সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এস ঈশ্বরন এই প্রস্তাব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরো টেকসই অবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই।
‘মাতারবাড়িতে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির ৪০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষর হতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল, অটোমেশন ও আইটি খাত, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট দ্রুত সরবরাহ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট থাকলে এসব কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া সম্ভব।’
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবস্থা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
এস ঈশ্বরন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই আমার এই সফর। অবকাঠামো ট্রাস্টির আওতায় বিনিয়োগ কার্যক্রম বাড়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিমানবন্দরে সৌর বিদ্যুৎ বা ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ বা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতে পারে।’
এ সময় ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ক্লিন এনার্জির বিস্তার, বিনিয়োগ, কারিগরি সহযোগিতা ও তহবিল সংগ্রহসহ বৈশ্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লহ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সিংগাপুরের কনসাল শীলা পেল্লাই, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ. এম. খোরশেদুল আলম ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।