ভবিষ্যতে দেশে মিটারগেজ রেললাইন থাকবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রাজবাড়ীতে রেলের নতুন ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানা নির্মাণ-বিষয়ক সমীক্ষার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর রেলভবনে এই চুক্তি হয়।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে চুক্তি হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন মোহাম্মদ কুদরত-ই খুদা এবং ফ্রান্সের কোম্পানি সিসট্রা এসএ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হ্যারি কুমার। ফ্যান্সের কোম্পানিটির সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রকল্পে কাজ করবে বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট-ডিডিসি লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাজবাড়ীতে রেলের নতুন ক্যারেজ এবং ওয়াগন ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের ব্যবস্থা যেন থাকে। প্রকল্পের জন্য ১৬ মাস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যেন কাজ শেষ হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভবিষ্যতে দেশে দুই ধরনের রেলপথ থাকবে না। মিটারগেজ থেকে সব রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। এই কারখানাটি ব্রডগেজ ক্যারেজ ও ওয়াগন তৈরি করার জন্য হচ্ছে।
‘অবিভক্ত ভারতে কলকাতা থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ ছিল। সেখান থেকে ফেরি করে নারায়ণগঞ্জ আসত ট্রেন। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এখন রাজবাড়ীতে রেল কারখানা হলে ভবিষ্যতে রেলের পূর্বাঞ্চলের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। আমরা রেলব্যবস্থাকে প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করব। যেখানে সিঙ্গেল লাইন আছে সেখানে আমরা ডাবল লাইন করছি।’
রেলব্যবস্থা এখনও তেলের মাধ্যমে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে ইলেকট্রিক ব্যবস্থায় রেল চলছে। নতুন যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেখানে যেন ইলেকট্রিক ব্যবস্থা থাকে। প্রত্যেকটি জেলায় রেল লাইন সম্প্রসারিত করব।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ৮টি ইন্টারসেকশন পয়েন্টের মধ্যে আমরা ৫টায় যুক্ত হতে পেরেছি। বাকিগুলোতেও যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান প্রমুখ।