বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকৌশলীর মতে ক্ষতির অঙ্ক ১০ হাজার, পিবিআই বলল দুই লাখ

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৪

তদন্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বাদীর আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার পর আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। আর এই প্রতিবেদনটি দ্রুত পাঠানোর জন্য উচ্চ মহলের চাপ ছিল।’

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় একটি সীমানা প্রাচীর ভাঙায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা। তবে প্রকৌশলীর দাবি, ৫ ইঞ্চি ইটের তৈরি গাঁথুনির ২২ ফুট প্রাচীরটি পুনরায় নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা লাগবে। অভিযোগ উঠেছে, মামলা তদন্তের নামে বাদীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামের বাসিন্দা রাজিউল হক ও প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। চলতি বছরের ১৯ জুন প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম ওই প্রাচীরের একাংশ ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ২১ জুন বেলকুচি থানায় মামলা করেন রাজিউল।

মামলার তদন্তের পর বেলকুচি থানার এসআই মাহমুদুল হাসান ৩০ জুন আদালতে প্রতিবেদন দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৪ ফুট উঁচু এবং ২৫ ফুট লম্বা প্রাচীরটি ভাঙার কারণে রাজিউলের ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাজিউল আদালতে না রাজি দিলে পুনরায় তদন্তের জন্য আদালত মামলাটি সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন।

এরপর পিবিআইয়ের এসআই আশিকুর রহমান মামলাটি আবারও তদন্ত করে ১৬ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাচীরটি ভাঙার কারণে বাদী রাজিউলের ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে বেলকুচি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীর ভাঙার পর ক্ষতির পরিমাণ দেখতে সরেজমিন সার্ভে করা হয়েছে। প্রাচীরটির থেকে ৩৩২টি ইট খুলে ফেলা হয়েছে। যা আবার নির্মাণ করতে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।’

এ বিষয়ে বিবাদী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআইয়ের এসআই আশিকুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। এসে ছবি তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে তার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। এরপর দুইদিন তার অফিসে গেলেও তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেননি। পরে বাদী রাজিউলের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তিনি পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজিউল জোর করে আমার দেড় ফুট জায়গা দখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছেন। তাই আমি সীমানা প্রাচীরের একাংশ ভেঙে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বাদীর আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার পর আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। আর এই প্রতিবেদনটি দ্রুত পাঠানোর জন্য উচ্চ মহলের চাপ ছিল।’

অনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগের প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান বলেন, ‘পিবিআই মামলা তদন্তে কোনো অনৈতিক সুবিধা নেয় না বলে সবাই জানে। বিবাদীর অভিযোগ সত্য নয়।’

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘বিবাদী অভিযোগ করতেই পারে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন কর প্রতিবেদন দিয়েছেন। আদালত ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়েছেন। পরবর্তী সিদ্বান্ত নেয়ার দায়িত্ব আদালতের।’

এ বিভাগের আরো খবর