বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরগুনা আ.লীগের ত্যাগীরা চান পরিবর্তন, বর্তমানদের আস্থা কেন্দ্র

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৩০

১৯৯২ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তৎকালীন বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

দীর্ঘ আট বছর পর আজ বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা শহর।

পদ প্রত্যাশী তরুণ নেতারা বলছেন, ৩০ বছর ধরে দলের শীর্ষ পদে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়নি। এবারের সম্মেলনে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও অপেক্ষায় থাকা যোগ্য ব্যক্তিদের কাছে নেতৃত্ব দিতে হবে।

তবে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আস্থা কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তে।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। সাধারণ সম্পাদক হন বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির।

এরপর দীর্ঘ ৩০ বছর শীর্ষ দুটি পদে সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে এই দুইজন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সবশেষ ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের পর যথারীতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে সভাপতি ও জাহাঙ্গীর কবিরকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিন বছরের সেই কমিটি পার করেছে আট বছর।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বরগুনা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এখনো বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য।

সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা নিউজবাংলাকে জানান, তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে চান। তবে হাউস থেকে যদি প্রস্তাব ওঠে তবেই কেবল তারা পদ দাবি করবেন।

জেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা সম্মেলনে একমাত্র সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনার পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরওয়ার টুকু, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন।

দলীয় কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করতে নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার। এতে দল যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি সংসদ নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোতালেব মৃধা।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর দলের শীর্ষ দুটি পদে একই ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমরাও তো রাজনীতি করে করে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। এরপর দলের হয়ে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন আমি। দল এখনও যদি আমাদের ত্যাগের মূল্যায়ন না করে তবে কিছু করার নেই।'

তিনি আরও বলেন, ‘উনি (বর্তমান সভাপতি) তো সবই পেয়েছেন। এখন স্বেচ্ছায় দলের পদ ছেড়ে অন্যদের জায়গা করে দেয়া উচিত।’

গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতারা দল পরিচালনা করে আসছেন। আমাদের সিনিয়র নেতাদের উচিত দলের হয়ে আমরা যারা দীর্ঘ সময় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিবেদিত হয়ে কাজ করছি, তাদের সুযোগ করে দেয়া। আশা করি, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা বিবেচনায় রাখবেন।'

অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে যদি হাউস আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী করতে চায়, তবে আমি প্রার্থী হব।’

আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। নেতা-কর্মীরা যদি মনে করে আমি সঠিক ও সুসংগঠিতভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছি, তবে তারাই আমাকে আবার চাইবে ও কেন্দ্র বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

সম্মেলনে নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা আছে অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপির।

তিনি বলেন, ‘সেই ১৯৮৭ সাল থেকে আমি দলের নেতৃত্বে আছি। কখনো সভাপতি, কখনো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছি। এবার আমি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হতে চাই না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই এখানে চূড়ান্ত। তবে অবশ্যই পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের দায়িত্ব দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর