বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে হেনস্তার মামলা

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ২২:৫৫

হেমায়েতের অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ তাকে ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা বলে গালাগাল করেন। অধিগ্রহণের তথ্য জানানোর বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে দুদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

হেনস্তা, হয়রানির হুমকি ও ঘুষ দাবির অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) এহসান মুরাদসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি করেন হেমায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূর এ খোদা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ভূমি সার্ভেয়ার মো. আব্দুল মোমেন, সার্ভেয়ার মো. ইমাম হোসেন গাজী, সার্ভেয়ার মোক্তার হোসেন, সার্ভেয়ার আবু কায়সার সোহেল ও অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বুলু।

এজাহারে বলা হয়, বিরোধপূর্ণ একটি জমি নিয়ে মালিক দাবি করা পক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন বাদী ও তার ভাই। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জমি নিয়ে চলমান মামলার খরচ বহন করবেন বাদী ও তার ভাই। বিনিময়ে মামলা নিষ্পত্তির পর জমি বুঝে পেয়ে অর্ধেক অংশ বাদী ও তার ভাইকে দেয়া হবে।

বাদী হেমায়েতের অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী তিনি মামলার খরচ বহন করলেও অপরপক্ষ প্রতারণার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ওই জমির কিছু অংশ কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের আওতায় হওয়ায় তা সরকার অধিগ্রহণ করে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা মালিক দাবি করা পক্ষকে যেন না দেয়া হয়- সেজন্য জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) এহসান মুরাদের কাছে লিখিত আবেদন করেন হেমায়েত। তবে দীর্ঘ সময়েও এর কোনো উত্তর পাননি।

হেমায়েত জানান, সবশেষ গত ১০ অক্টোবর বিকেলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে সার্ভেয়ার মোক্তার হোসেনের কাছে তিনি অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সবশেষ তথ্য জানতে চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সার্ভেয়ার মোক্তার, আব্দুল মোমেন, ইমাম হোসেন গাজী, আবু কায়সার ও অফিস সহকারী বেলায়েত তাকে লাঞ্ছিত করেন। এরপর তাকে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদের কক্ষে নেয়া হয়।

হেমায়েতের অভিযোগ, সেখানে এহসান মুরাদ তাকে ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা বলে গালাগাল করেন। অধিগ্রহণের তথ্য জানানোর বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে দুদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এহসান মুরাদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) মাসুদ কামাল এই বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওনার (এহসান মুরাদ) অফিস থেকে আমার অফিস খুব বেশি দূরে না। আমি ওইদিন অফিসেই ছিলাম। সেদিন উচ্চবাচ্যের কিছু আমি শুনিনি। আমাকে কেউ জানায়ওনি।

‘আরেকটা বিষয় হলো জমির মূল মালিক যিনি, তিনি আমাদের এখানে এসেছিলেন, তিনি জানালেন যে হেমায়েতের স্বত্বের দাগে (অধিগ্রহণ করা) নেই। তিনি (হেমায়েত) মূলত দালালি করতে এসেছিলেন এখানে।’

এ বিভাগের আরো খবর