ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদেরকে প্রতিহত করতে যাত্রীদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি মনে করেন, যাত্রীদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যা নির্মূল করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রেল সপ্তাহ-২০২২ উদ্বোধন করে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি।
যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করছে, তাদের ধরিয়ে দিন। কালোবাজারিদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিট কিনবেন না।…শুধু রেল কর্তৃপক্ষ প্রতিরোধ গড়ে তুললেই কালোবাজারি নির্মূল সম্ভব নয়। যাত্রীদের পক্ষ থেকেও প্রতিরোধ হতে হবে।’
এ ক্ষেত্রে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান মন্ত্রী। কালোবাজারি অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও দাবি তার।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি আমরা অনেক কমিয়ে এনেছি। তবে লোকবলের অভাবের কারণে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারেনি।’
অনেকেই বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা এটাও ঠেকাতে পারিনি।’
রেল সপ্তাহ-২০২২ উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: নিউজবাংলা
আগামী বছরের ৩০ জুন থেকে ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যাবে বলেও আশা করেছেন মন্ত্রী। জানান, সিরাজগঞ্জের ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্টেশন থেকে সরাসরি বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেল লাইনের কাজ এগিয়ে চলছে।
সরকার সামর্থ্য অনুযয়ী যাত্রী সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। বলেন, এজন্য কর্মকর্তাও কর্মচারীদের উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেল সচিব হুমায়ুন কবিরও। তিনি বলেন, ‘রেলের যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে সেটা হল টিকিটিং। তবে আজকে বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা আশা করছি আগামী ঈদ রেলের ভ্রমণ আরও সুন্দর হবে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। মানুষ আরও সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারবে।
সচিব বলেন, ১০০ জন লোক যদি রেলের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ায় তাহলে আমরা ১৮ জনকে টিকিট দিতে পারি। শতকরা ৮২ ভাগ মানুষকে টিকিট দেয়া সম্ভব হয় না। টিকিট না পাওয়ার কারণে সমালোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ভালো কাজের জন্য রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের এক কর্মকর্তা ও ৩২ জন কর্মচারীকে পুরস্কার দেয়া হয়।
রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) জয়দেব কুমার ভদ্রও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।