ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন পূর্বঘোষিত ৩ ডিসেম্বর হচ্ছে না। সম্মেলনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ডিসেম্বরের মধেই এই সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।
ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতেই সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করে দেবেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ২৯ নভেম্বর জাপান সফরে যাচ্ছেন। তিনি দেশে ফিরবেন ৩ ডিসেম্বর। মূলত তার এই সফরকে কেন্দ্র করেই ছাত্রলীগের সম্মেলন পেছানো হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সংগঠনগুলোর সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগ দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক একাধিক বৈঠক করে ছাত্রলীগের সম্মেলনের জন্য কয়েকটি তারিখ প্রস্তাব করেন। সেখান থেকে শেখ হাসিনা ৩ ডিসেম্বরকে সম্মেলনের তারিখ হিসেবে সম্মতি দেন।