বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিতর্কে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:০৫

জার্মানিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্প্রতি চার কর্মীকে লন্ডনে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, এদের কাউকেই ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেয়া হয়নি।

নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চার ক্রুকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে দেশে আনতে পাঠানো হয়েছে কি না, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রার কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জার্মানিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্প্রতি চার কর্মীকে লন্ডনে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, এদের কাউকেই ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেয়া হয়নি।

নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়া কীভাবে চার ত্রুকে লন্ডন পাঠানো হলো, জানতে চাইলে বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন মুভ করবেন বা প্রধানমন্ত্রী যখন মুভ করেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য এসএসএফ আছে। তারা নির্ধারণ করেন কোন পাইলট যাবেন বা কোন ক্যাপ্টেন যাবেন, কেবিন ক্রু কারা থাকবেন বা যাত্রী কারা থাকবেন। সব বিষয়ই তারা ডিল করেন।

‘এসএসএফ যদি সিলেক্ট করে তাহলে বেবিচক এটা ওভারকাম করতে পারবে না বলে মনে হয়। যেহেতু তাদের নিরাপত্তায় একটি বিশেষায়িত বাহিনী আছে, তারাই এটা ঠিক করেন। সেই পাইলট বেবিচকের সার্টিফায়েড কিনা, যেহেতু আমরা দায়িত্বে আছি, আমরা সেটা দেখব, কারা গেল, বা কেন এই জিনিসটা হলো।’

এ ব্যাপারে বিমানের গাফিলতি আছে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান কখনও পাঠাতে পারে না। তাদের অনুমতি নিয়েই যেতে হয়। এমনকি বিমানের এমডিও তাদের অনুমতি ছাড়া যেতে পারেন না। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত করব। কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেব।’

এ সময় বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস অবশ্যই একটি অপরাধ। আমি বিশ্বাস করি, যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিচার হবে। সাথে সাথে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, বিমান একটি কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠান। এর ভাবমূর্তি এটার সাথে জড়িত। অপরাধী যেই হোক বিচার হবে।

‘আমি কোনো অপরাধীর পক্ষ নিতে রাজি না। কিন্তু কোনো সংবাদে যাতে জাতীয় সম্পদের ভাবমূর্তির ক্ষতি না হয়। আমাদের যেখানে ব্যর্থতা, সেটা আমরা অবশ্যই ইয়ে করব। কিন্তু যাতে এমন কিছু না হয়, দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয়। আমাদের ব্যর্থতা অবশ্যই বলবেন।’

সব এয়ারলাইনসের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে সরকার সচেষ্ট বলেও দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সংবিধানে একটি ক্লজ আছে। সবাইকে সমান ভাবতে হবে। কোনো ডিসক্রিমিনেশন করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করি অন্য এয়ারলাইনসের সাথে নতুন যে এয়ারলাইনস এসেছে, সবার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

‘আমাকে যখন জানাল দুটি এয়ারলাইনস ভাড়ার বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে, আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়েছি ৫০০ টাকা প্লাস মাইনাস এভাবে ফেয়ার ঠিক করতে হবে, যাতে এ সমস্যাটা না থাকে। আমি বিশ্বাস করি তেলের ক্ষেত্রেও এমনটা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর