বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টন চায় বিএনপি

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৫৬

সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া না হয়, সে বিষয়েও ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আমান উল্লাহ আমান

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে এই সমাবেশের সময় যেন যান চলাচল বন্ধ না হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে।

দলটি সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে আসতে যেন কাউকে বাধা দেয়া না হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশকে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিন্টো রোডের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। এরপর তারা বৈঠকও করেন।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার এবং নানা দাবিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করছে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ঘিরে কথার লড়াই শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।

এই সমাবেশের দিন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ চলবে- বিএনপি নেতারা এমন ঘোষণা দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও পরে দলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে সেই বক্তব্য নাকচ করা হয়।

তারপরও এই সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট। আওয়ামী লীগও দিনটিকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। তারাও রাজপথে শক্তি দেখাচ্ছে নানা কর্মসূচিতে।

বিএনপি প্রথম সমাবেশ করে চট্টগ্রামে। এরপর ময়মনসিংহ, পরে খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সবশেষে ফরিদপুরে হয় সমাবেশ। সিলেটেও সমাবেশ আছে আগামী শনিবার।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের সমাবেশটি নির্বিঘ্নে হলেও বাকি প্রতিটি সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয় নানা ইস্যুতে। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সমাবেশে যেন লোকসমাগম কম হয়, সে জন্য সরকারের নির্দেশে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপির অতীতের কর্মসূচিকে সহিংসতা, বাসে আগুনের ঘটনায় দলটিকে ভয় পান বাস মালিক ও শ্রমিকরা। এখানে সরকারের করণীয় কিছু নেই।

বৈঠক শেষে বের হয়ে আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করতে চায়। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের যেন আসতে বাধা দেয়া না হয়, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সেই বিষয়টি তারা জানিয়েছেন কমিশনারকে।

তিনি বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া না হয়, সে বিষয়েও ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানানো হয়েছে।’

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির নেতারা।

ডিএমপি কমিশনার কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনা করে আমাদের জানাবেন।’

বৈঠক শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি, এখন সেটি বিবেচনা করে দেখব অনুমতি দেয়া যায় কি না। আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখব কোনো ধরনের ঝুঁকি রয়েছে কি না।’

বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের যে অভিযোগ এনেছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের বিরুদ্ধে এ রকম কোনো গ্রেপ্তার অভিযানও চলছে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে গ্রেপ্তার করব।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর