পিরোজপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমানকে হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন পিরোজপুর জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
পরে আদালত তাকে সতর্ক করে আদালত অবমানার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন ফিদা এম কামাল ও সাঈদ আহমেদ রাজা। তাদের সঙ্গে ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা নিউজবাংলাকে বলেন, সেই দিনের সে আচরনের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন জানাই। আদালত শুনানি নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এমনটি আর না হয় সতর্ক করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। রুলটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
শুনানির এক প্যারায় হাইকোর্ট পিপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আপনি বারের নেতা। বারের একজন আইনজীবী হিসেবে আদালতের সঙ্গে এমন ব্যবহার কোনোভাবে কাম্য নয়। আপনারা যদি আদালতকে সম্মান না করেন তাহলে আদালতের মর্যাদা কিভাবে রক্ষা হবে।
পরে আদালত ভবিষ্যতে আর যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করে দেয়।
গত ১৭ অক্টোবর এক আদেশের পিরোজপুর জেলার পিপিকে তলব করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। তাকে ১৫ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে আজ তিনি হাজির হন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিপির বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগে পিরোজপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন সম্প্রতি সময়ে তার পিপিশীপের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের চেষ্টায় পিরোজপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেন্সিতে কর্মরত অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের সঙ্গেও প্রকাশ্য এজলাসে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়।
সেই অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে হাইকোর্টের এ বেঞ্চ পিপিকে তলব করে আদেশ দেয়।