ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চাঁদা দাবির অভিযোগে স্থানীয়দের পিটুনি খেয়েছেন পুলিশ সদস্য মো. শিমুল। খবর পেয়ে পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে ইন্টারশেকসনের ফ্লাইওভারে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় যুবক অমিত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে গোলচত্বরে ঘোরাফেরা করছিলাম। এসময় শিমুল এসে আমার বাড়িঘর কোথায় জানতে চান। পরিচয় দিলে তিনি আমার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। আমি দিতে রাজি না হলে তিনি আমাকে ধরে থাপ্পড় দেন। আমার চিৎকার শুনে একপর্যায়ে আশেপাশের লোকজন এসে শিমুলকে মারধর করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক আলামিন অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে মুনসুরাবাদ থেকে ভাঙ্গায় ফেরার সময় পুলিশ পরিচয়ে শিমুলকে মহাসড়কে যানবাহনচালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে দেখেছি।’
চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে শিমুল নিউজবাংলাকে জানান, ভাঙ্গায় ঢাকার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় ইন্টারসেকশনে স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করেন স্থানীয়রা।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ জানান, শিমুল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) সদস্য। তবে তিনি সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ’শিমুল নরসিংদী জেলার পলাশ থানার বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি ভাঙ্গার হামিরদী গ্রামে। শিমুল তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে ভাঙ্গা ইন্টারসেকশনে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তখন স্থানীয় এক যুবক ও তার বান্ধবীকে মহাসড়কের পাশে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান শিমুল। এর প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের মারধরের শিকার হন শিমুল।
‘খবর পেয়ে শিমুলকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গায় ছিনতাইসহ নানা ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ভাঙ্গা ইন্টারসেকশনসহ শহররে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামরো বসিয়ে মনটিরং জোরদার করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।