বান্দরবান জেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত র্যাব সদস্যের মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আহত র্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়ার অবস্থার অবনতি হলে রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর সকাল পৌনে ৯টার দিকে তার মাথায় অপারেশন হয়।’
তিনি আরও জানান, অপারেশন শেষে তাকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্ত এলাকায় সোমবার রাত ৮টার দিকে গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ রাত পৌনে ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহত সোহেল বড়ুয়ার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। এ ছাড়া মাথায় দায়ের কোপ রয়েছে। মাথার ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ চলছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।’
সোহেলকে হেলিকপ্টারে রাতেই ঢাকা পাঠানো হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, গুলিবিদ্ধ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়াকে রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পাল্টা গুলি করেন যৌথ দলের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সোমবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘র্যাব এবং ডিজিএফআইর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
‘মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইর একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হন।’