বান্দরবান জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক র্যাব সদস্য।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সোমবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘র্যাব এবং ডিজিএফআই-এর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
‘মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআই-এর একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হন।’
র্যাবের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, আহত র্যাব সদস্য সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্ত এলাকায় সোমবার রাত ৮টার দিকে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, গোলাগুলির সময় এক নারীরও মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়াকে ভর্তি করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
তিনি জানান, র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পাল্টা গুলি করেন যৌথ দলের সদস্যরা।
তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ জানান, গোলাগুলির সময় রোহিঙ্গা এক নারীও প্রাণ হারান। তবে তিনি নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ রাত পৌনে ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহত সোহেল বড়ুয়ার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। এছাড়া মাথায় দায়ের কোপ রয়েছে। মাথার ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ চলছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।’
সোহেলকে হেলিকপ্টারের ঢাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।