বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে এক নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ। আর র্যাবের আহত এক সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুতর আহত র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্তে সোমবার রাত ৮টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে র্যাবের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, র্যাবের একটি দল মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। পাল্টা গুলি করে র্যাব।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, গোলাগুলির পর এক নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়াকে ভর্তি করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ জানান, অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীরা র্যাবের উপর গুলি করে। এতে রোহিঙ্গা এক নারী মারা গেছেন। তবে তিনি নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ রাত পৌনে ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহত সোহেল বড়ুয়ার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। এছাড়া মাথায় দায়ের কোপ রয়েছে। মাথার ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ চলছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।’
সোহেলকে হেলিকপ্টারের ঢাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।