ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদ্মা সেতু ব্যবহার নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তার মতে, বিএনপি নেতার এই সেতুতে উঠার আগে সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।
সোমবার সচিবালয়ে এক মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পদ্মা সেতু সবার জন্যই বানানো হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের লজ্জা আসলে নাই। লজ্জা যদি থাকত, পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে তাদের বলা উচিত ছিল, পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা (বিএনপি) যে অপপ্রচার করেছি তার জন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল।
‘লজ্জা শরম নাই সে জন্য চুপিসারে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে এসেছে। তবে পদ্মা সেতু সবার জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সরকার নির্মাণ করেছে।’
সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বিধবা ভাতা পর্যন্ত সব লুটপাট করে খাচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাব দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘উনারা পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। চারবার এককভাবে, আরেকবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। যারা চোর, বিশ্ব চোর তারা সবকিছুতেই চুরির গন্ধ খোঁজে। নিজেরা বিশ্ব চোর তো সেজন্য সবকিছুতে চুরির গন্ধ খোঁজে। যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন হাওয়া ভবন বানিয়ে সব ব্যবসার মধ্যে চাঁদাবাজি করেছে।’
সরকার পতনে বিএনপির ঘোষণা নিয়েও কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রায় ১৪ বছর ধরে বলে আসছে সরকারের পতন ঘটাবে এবং পতন না ঘটলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। অবশ্য প্রত্যেকটা সমাবেশের পর তারা ঘরেই ফিরে যায়।’
বিএনপির এই ঘোষণায় আওয়ামী লীগের লাভ হচ্ছে বলেও মনে করেন হাছান। বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা চাঙা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের একটা গুণ হচ্ছে কেউ যদি খোঁচা দেয় তখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে উজ্জীবিত হয়।’
কর্মীরা উজ্জীবিত হওয়ার কারণেই ঢাকায় যুবলীগের সমাবেশে লাখ লাখ যুবক উপস্থিত হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) মতো এত হাঁকডাক তারা দেয়নি। এটা যুবলীগের সমাবেশ, আওয়ামী লীগের নিজের সমাবেশ না। বিএনপির আন্দোলনের কারণে আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে, চাঙ্গা হচ্ছে এবং অপশক্তির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’