ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রবেশ করলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের ক্ষতি করা হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওই অধ্যাপক।
সোমবার দুপুরে নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিডি থেকে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে একটি গ্রামীণ নম্বর থেকে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে ফোন করা হয়। এ সময় অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক দাবি করে ফরিদ আহমেদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। তা না হলে তার জীবন বিপন্ন হতে পারে বলেও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে অ্যধাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, “আমাকে হুমকি দেয়ার আগে গত ৯ নভেম্বর সকালে একটি টেলিটক নম্বর থেকে ফোন করে মেহেদী পরিচয়ে একজন দেখা করতে চান। নম্বর দুটো যাচাই করে জানতে পারি একটি নম্বর ‘অ্যাভাটার’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত। অপর নম্বরটিও ‘জি-বিশ্বাস’ নামে একই গ্রুপে যুক্ত। এ ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন।’
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বরাবর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের লিখিত অভিযোগ করেছিলেন অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানান তিনি।
অভিযোগপত্রে ফরিদ আহমেদ দাবি করেন, ‘রাষ্ট্রদর্শনে গণতন্ত্রের অবস্থান এবং বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক একটি পিএইচডি থিসিসে অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এ ছাড়া ওই গবেষণাপত্রটি ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরি’তে প্রকাশ করে আইন ভঙ্গ করা হয়েছে।
এসব বিষয়কে তিনি ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ এর ২১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করেন।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ করেছিলাম। তবে মোবাইল ফোনে হুমকির ঘটনা এবং ওই ঘটনাটি সম্পর্কিত কি-না এখনও নিশ্চিত নই। সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’