বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মার্ট লুক নিয়ে রাবিতে একের পর এক সাইকেল চুরি

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৯

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক বলেন, ‘চোর ধরার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থানার পুলিশ প্রশাসনের। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ফুটেজগুলো মতিহার থানায় পাঠাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তৎপর আছি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নূর আলম নেহাল মাসখানেক আগেই ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। কিছু টাকা নিয়েছিলেন বাবার কাছ থেকে আর কিছু ধারদেনা করেছিলেন বন্ধুদের কাছ থেকে।

কিন্তু মাস না ঘুরতেই নেহালের সাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ক্যাম্পাসে ক্লাসে গিয়ে বহু কষ্টে কেনা সাইকেলটি খুইয়েছেন তিনি।

সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা গেছে, ভদ্রবেশী এক চোর নেহালের সাইকেলটি নিয়ে চলে যাচ্ছে।

নেহাল জানান, চোরের ছবিও তার কাছে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগও করেছেন। কিন্ত সাইকেলটি এখনও উদ্ধার হয়নি।

নেহালের মতো সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরি হয়েছে রাবি ক্যাম্পাসে। গত এক মাসেই ক্যাম্পাসে অন্তত ৭টি সাইকেল চুরির অভিযোগ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে।

এসব চুরির কিছু ঘটনা সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা গেছে। তবে এখনও চোর শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, শিক্ষার্থীর বেশে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে চোর চক্রের সদস্যরা। তারপর সুযোগ বুঝে তালা ভেঙে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ চক্রের সদস্যদের পিঠে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতো ব্যাগ ঝোলানো থাকে, যেন কেউ বুঝতেই না পারে তারা চোর। অনেককে আবার চোখে চশমা লাগিয়ে স্মার্ট লুক নিয়ে সাইকেল চুরি করতে দেখা গেছে।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুরি যাওয়া প্রায় সবগুলো সাইকেলই ছিল নতুন। দুই-তিন মাসের মধ্যেই কেনা হয়েছিল সাইকেলগুলো।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাম্পাসে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সাইকেল চুরির উদ্দেশে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী, একজন কর্মচারী ও একজন শিক্ষকের ছেলের সাইকেল চুরি হয়েছে। যে ৫ শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরি হয়েছে তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অনিল চাকমা, আরবি বিভাগের নূর আলম নেহাল ও ইয়াসির আরাফাত সিফাত, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আসমাউল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের জাহিদ হাসান।

সর্বশেষ গত রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের নিচতলা থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়ে যায়। এই সাইকেলটি ছিল গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের।

জাহিদ জানান, সকালে ক্লাস চলার সময় তার সাইকেলটি চুরি হয়েছে। সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কোনো একসময় ঘটনাটি ঘটেছে।

ক্লাস শেষে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সাইকেলটি না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন জাহিদ। পরে প্রশাসনের সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে দেখা যায়, একজন কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে এসে তালা ভেঙে সাইকেলটি নিয়ে যাচ্ছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরএমপির মতিহার থানার মধ্যে অবস্থিত। এই থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘আমরা সাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের ধরতে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো নিয়ে আমাদের টিম কাজ করছে। ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, শিক্ষার্থীদের মতোই পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে সাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো আসলে কারা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক বলেন, ‘চোর ধরার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থানার পুলিশ প্রশাসনের। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ফুটেজগুলো মতিহার থানায় পাঠাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তৎপর আছি।’

প্রক্টর জানান, ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে দুটি সাইকেল গ্যারেজ করার টেন্ডার পাস হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলোর কাজ শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর