মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার করা মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ ১৫ জনের জামিন দিয়েছে আদালত।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিলকিস আক্তার সোমবার শুনানি শেষে তাদের জামিন দেন।তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় জামিন শুনানি হবে ২০ নভেম্বর।
জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকারের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, ছাত্র অধিকারের নেতা আরিফুল ইসলাম, তসলিম হোসাইন অভি, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মামনুর রশিদ, এইচ এম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ ও রাকিব।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা সমবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হয়। আসামিরা সরকার, সরকারপ্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়।
মামলায় বলা হয়, তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক ও বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে সমাবেশের পরিবেশ নষ্ট হয়।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন মামলা করেন। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদ পাল্টা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে।