ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
রিটটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন রাশেদ। পরে আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর রোববার দিন ঠিক করে দেয়।
শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ আদালতকে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।’
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় তার রিটকারী আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘মূলত তারা নিজেদের পাবলিসিটির জন্য এ রিট করেছেন।’
তখন আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এটা কোনো আরগুমেন্ট (যুক্তি) হতে পারে না।’
তখন ডিএজি বলেন, ‘এ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবাদ (রিজয়েন্ডার) জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য তিনি দেননি। পত্রিকায় ভুলভাবে এসেছে।’
তখন আদালত ডিএজিকে তার বক্তব্যের সপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে মুলতবি করে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ। রিটে মন্ত্রীর বক্তব্যে শপথ ভঙ্গ হয়েছে এমন দাবি করে তার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রিটকারী আইনজীবী।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সামলোচনার ঝড় ওঠে।