বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫৫ কোটি টাকা জালিয়াতি: ৩ ব্যাংকারের জামিন বাতিল

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:১২

১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে চট্টগ্রামের অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট বাণিজ্যিক শাখার তিন কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রামের অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট বাণিজ্যিক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাসসহ তিনজনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে সোমবার এই নির্দেশ দেয়।

উদয় কুমার বিশ্বাস ছাড়া বাকি দুজন হলেন প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শাহজাদুল আলম ও প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন ফারুকী।

আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একে এম ফজলুল হক।

চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামশুল আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৭ মে মামলা করে দুদক। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ছাড় করানোর প্রক্রিয়ায় ট্রাস্ট রিসিটের মাধ্যমে ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এ মামলায় ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন উল্লিখিত তিন ব্যাংকার। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ সোমবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে জামিনপ্রাপ্ত তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

মামলা থেকে জানা যায়, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়।

মামলায় চট্টগ্রামের ভোজ্যতেল শোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইলিয়াস ব্রাদার্সের এমডি মোহাম্মদ সামশুল আলম ছাড়াও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ইলিয়াস ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার, পরিচালক মো. নুরুল আলম, জয়নাব বেগম, কামরুন্নাহার বেগম, তাহমিনা বেগম, অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট বাণিজ্যিক এলাকা শাখা, আগ্রাবাদের উপমহাব্যবস্থাপক মো. নূরুল আমিন, একই শাখার সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জোনায়েদ বোগদাদী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শাহজাদুল আলম ও প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন ফারুকী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইলিয়াস ব্রাদার্স এলসি ঋণের নামে নেয়া ১৫৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ঋণ মঞ্জুরি/ক্রেডিট কমিটির শর্তানুযায়ী ঋণপত্র খোলা, ঋণ বিতরণ ও আমদানি করা পণ্যের বিক্রীত মূল্য থেকে যথাসময়ে টিআর ঋণ সমন্বয় নিশ্চিত না করে ইলিয়াস ব্রাদার্সকে দুর্নীতির সুযোগ করে দেন। আমদানি পণ্যের ওপর নিবিড় তদারকি এবং স্টক পরিদর্শনও করেননি তারা।

এছাড়া মঞ্জুরির শর্ত অনুযায়ী ঋণের ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ও শাখার কর্মকর্তাদের ওপর। কিন্তু তারা ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী ঋণ আদায় না করে মোহাম্মদ ইলিয়াছ ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডকে ব্যাংকের অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে ক্রুড পাম অয়েল আমদানির সুযোগ করে দেন।

নিয়ম ছিল প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করা পণ্য বিক্রি করে ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ করবে। কিন্তু তা না করে তারা তিনটি টিআর ঋণ বাবদ ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর