বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মাদক সংশ্লিষ্টতার তথ্য নাকচ করছেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন।
বুয়েট শহীদ মিনারে ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সোমবার সকালে মানববন্ধনে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে।
গত ৪ নভেম্বর বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন বুয়েটছাত্র ফারদিন। তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিন হত্যা মামলার তদন্তে মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি এলাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। ওই এলাকায় ৪ নভেম্বর রাত পৌনে দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে ফারদিনকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
সে সময়ে এলাকার কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও মরদেহ সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যার পর মরদেহ সরানো হয় প্রাইভেট কারে
ফারদিন হত্যাকাণ্ডে মাদক সংশ্লিষ্টতার খবর নিয়ে তার বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ‘যে ছেলে ধূমপান করে না, সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারে না, সে কীভাবে ফেনসিডিল খাবে? এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
নূর উদ্দিন বলেন, ‘যেসব গণমাধ্যম ফারদিনের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে এনেছে, তারা তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। রামপুরা থেকে চনপাড়া যাওয়ার সহজ পথে মেরাদিয়া দিয়ে না গিয়ে ফারদিন এত ঘুরে কেন সেখানে যাবে?’
ফারদিনের মৃত্যু মেধা ও মননের ওপর আঘাত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হত্যাকারীরা তার মেধা ও মননকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমার ছেলে মেধাবী বলে তার ব্রেনে আঘাত করা হয়েছে; তার বুকে আঘাত করে হৃদয়ের ওপর ক্ষোভ মিটিয়েছে হত্যাকারীরা।’
এদিকে তার করা মামলায় রিমান্ডে থাকা ফারদিনের বান্ধবী বুশরার বিষয়ে বিশদ তদন্ত প্রয়োজন বলেও জানান নূর উদ্দিন।
হত্যার রহস্য উন্মোচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের ওপর শতভাগ আস্থা রাখতে চান জানিয়ে ফারদিনের বাবা বলেন, ‘আমি চাই তারা দ্রুত এর রহস্য বের করে প্রকৃত অপরাধীদের সাজার আওতায় নিয়ে আসুক, যেন কেউই ছাড় না পায়।’
ওই সময় ফারদিন নিখোঁজের পর করা জিডি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন কাজী নূর উদ্দিন।