বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্ত্রিসভায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আলোচনা

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:০৮

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৩ সালে তিনটি কারণে সংকট সামনে আসতে পারে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি বলা হয়েছে।’

বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভায়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক।

ওই সময় সংকট উত্তরণে ছয়টি নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিসভা।

পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক যে অবস্থা আসছে, তাতে সারা বিশ্বে যে ক্রাইসিস দেখা যাচ্ছে, তাতে আমাদের কতগুলো ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে। সম্প্রতি বৈশ্বিক ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসগুলো যেটা বলছে যে, তিন কারণে ২০২৩ অনেক ক্রাইসিসের একটি বছর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘একটি হলো ফেডারেল রিজার্ভ যেহেতু রেট অফ ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি করে দিয়েছে, সেটা একটা। দ্বিতীয়ত কোভিডের রিকোভারিটা হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধটা হওয়ার কারণে যে প্রোগ্রেসটা হচ্ছিল, সেটা রিটরিডেশন মানে নেগেটিভের দিকে চলে যাচ্ছে। আরেকটি কারণ যেটা তারা বলছে, চীন প্রোডাকশন রিমার্কেবলি কম করছে। সেটা ওয়াল্ড মার্কেটকে ইনফ্লুয়েন্স করছে। এ তিনটির কারণেই ২০২৩ একটি ক্রাইসিসি ইয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবাইকে সে অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে। এটা নিয়েই মন্ত্রিসভায় আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

সংকট উত্তরণে ৬ নির্দেশ

বৈশ্বিক সংকটের ফাঁদে পড়ে দেশে যাতে কোনো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ ছয়টি নির্দেশনা এসেছে মন্ত্রিসভা থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উনারা যে অবজারভেশন দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা, প্রথমত আমাদের সর্বাবস্থায় ফুড প্রোডাকশনটা বাড়াতে হবে। আমরা যতই ফুড ইমপোর্টের কথা বলি, ক্রাইসিসটা থাকবেই। যদিও ইউক্রেন ও রাশিয়াকে ফ্রি করে দেয়া হয়েছে যে, ফুডের বিষয়ে কোনো ইমপোজিশন থাকবে না, তবে স্টিল এটি ম্যাটার করবে।

‘আর যেহেতু ফরেন কারেন্সির একটি সমস্যা হচ্ছে, ফেডারেল রিজার্ভের রেট অফ ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি হওয়ার কারণে যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা যাদের ইমপোর্ট বেশি, তাদের কিন্তু দুই দিক থেকেই অসুবিধা হচ্ছে। আমরা যখন টাকা দিচ্ছি, তখন বেশি দিচ্ছি আবার যখন পাচ্ছি তখন কম পাচ্ছি। সে জন্য ডাবল নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য ফার্স্ট ওন্ড ফর মোস্ট ইম্পরট্যান্ট কাজ হলো সবাইকে ফুড প্রোডাকশন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। এটার সম্ভাবনাও আছে। আমরা গত ৪-৫ মাস থেকে দেখছি এগ্রিকালচার, ফিশারিজ ও লাইভস্টকে বেশ কিছু নতুন ভ্যারাইটি এসেছে। এগুলো অলরেডি টেস্টেড। এগুলো রিপ্লেস করলে আগামী ১, ২ বা ৩ বছরের মধ্যে ফুড প্রোডাকশন ডাবলের কাছাকাছি চলে যাবে।

‘দ্বিতীয়ত, যারা বিদেশে যাচ্ছে, আমরা যেন আনস্কিলড লেবার না পাঠিয়ে স্কিলড লেবার পাঠাই। তাহলে তাদের জন্য হাই সেলারিতে কাজ করার সুযোগ হবে। সে ক্ষেত্রে যেসব দেশে আমরা পাঠাব, সেসব দেশের চাহিদা অনুসরণ করে যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সার্টিফিকেটগুলো যেন প্রোপার ইনস্টিটিউট থেকে তারা পায়। না হলে তাদের স্কিল বা ট্রেনিংয়ের কোনো দাম থাকে না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তিন নম্বর হলো, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য কিছু ইনস্ট্রাকশন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে একটি সার্কুলার দিয়েছে যে এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে কাউকে ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে সেই ব্যাংকই এটা হ্যান্ডেল করবে কীভাবে বেনিফিট দেয়া যায়। এটা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লিয়ার করেছে বা করবে।

‘বাহিরে থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের অনেকগুলো কলাম ফুলফিল করতে হয়। সেখানে তাদের কমফোর্ট দেয়া যায় কি না। যেমন: নাম বা এনআইডি দিয়ে পাঠানোর সিস্টেম। বাকিগুলো ডাটাবেজ থেকে নেয়া যায় কি না। তাহলে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘তিন নম্বর ফরেইন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আরও বাড়াতে হবে। এর জন্য যে শর্ত আছে সেগুলোকে আরও কমফোর্ট করা যায় কি না। অলরেডি আমরা কয়েকবার বসে কাজ করছি যাতে একমাত্র বিডাতেই যাবে ইনভেস্টররা। এক বিডাতেই কয়েকটি উইন্ডো খোলা হবে যেমন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন যেখানে ইন্ডাস্ট্রিটা হবে লাইসেন্স নিতে যাতে তাকে সেখানে যেতে না হয়। এনবিআরের ট্যাক্স দেয়ার ক্ষেত্রেও যাতে তাকে এনবিআরে যেতে না হয়।

‘আরেকটি বড় বিষয় ছিলো, রিপ্যাট্রিয়েশন অফ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, এটাও আমরা অনেক কমফোর্ট করে দিয়েছি। এটা আমরা নিজেরাই, আমাদের প্রায় এক দেড় বছর লেগেছে। এখন এটা অনেক কমফোর্ট হয়েছে। এ রকম আরও কিছু কমফোর্ট দেয়া যায় কি না যাতে করে ইনভেস্টররা আমাদের এখানে কাজ করতে আগ্রহী হন।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘৫ নম্বরে বলা হয়েছে ফুড স্টোরেজটাকে সবসময় কমফোর্টেবল রাখতে হবে। এখন এটা ভেরি কমফোর্টেবল অবস্থায় আছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও অনেক ফুড ইমপোর্ট করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। একাধিক বড় দেশ যারা সাপ্লিমেন্টারি ফুড যেমন তেল বা মসলা এক্সপোর্ট করে তাদের সাথে সরাসরি আমাদের ইমপোর্টারদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে সরাসরি করা যায় কি না, উইদাউট গোয়িং টু থার্ড পার্টি। সরাসরি গেলে কমফোর্টেবল প্রাইসে পাওয়া যাবে।

‘ট্যাক্স কমফোর্টের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা আমাদের খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উৎসে কর সংক্রান্ত কিছু বিষয় আছে এটা দিতে হয়। এনবিআরকে বলা হয়েছে আলাপ আলোচনা করে ইমিডিয়েটলি যেন তারা একটি সন্তোষজনক প্রোভিশনের মধ্যে যায়. যাতে করে আমাদের ফুড ইমপোর্টাররা কমফোর্টে আসতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর