রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি থেকে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন সিটির বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনও চূড়ান্ত করেনি প্রার্থী।
রাজধানীর বনানীতে রোববার দুপুরে জাপা কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে থেকে মোস্তফার পক্ষে এসএম ইয়াসির মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
মেয়র মোস্তফা বলেন, ‘রংপুর জাতীয় পার্টির দুর্গ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে রংপুরে জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি সুসংগঠিত। সাধারণ মানুষ পার্টিকে ভালোবাসে, আমাকে ভালোবাসে।
‘আশা করছি যদি ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করা হয়, প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে, তাহলে বিজয় আমাদের শতভাগ নিশ্চিত।’
নির্বাচনে ২১ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করবে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। সেটি পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে ২৭ নভেম্বর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ।
প্রার্থিতা নিয়ে রোববার নগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। এতে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জানান, রসিক নির্বাচনে নগরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা প্রার্থী চান তারা।
তাদের দাবি, বাইরের কোনো প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চাইলে তাকেও নগর আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে।সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রংপুর থেকে প্রার্থীর তালিকা পাঠানো হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্র থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক, তার পক্ষেই কাজ করবে রংপুর আওয়ামী লীগ।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি বলেন, ‘দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য তিনটা নাম পাঠাতে হবে। আমরা নাম পাঠালেই নেত্রী দলীয় মনোনয়ন দেবেন তা নয়, সুইটেবল ক্যান্ডিডেট না হলে সেখান থেকে হবে না।
‘আমরা নাম পাঠাব। নেত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন। তার কাছে সব ধরনের রিপোর্ট আছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়লাভ করাব। আমাদের ধারণা, এবারের নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কাকে ভোট দেবে। ভবিষ্যতে রংপুরের উন্নয়ন পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করব।’
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২৯ নভেম্বর।
১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে, যা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর।
প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পাবেন ১৭ দিন।