জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি নামে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন বাতিলের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১। একই দাবিতে সোমবার নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। প্রজন্ম ’৭১-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে বলা হয়, নির্বাচনে নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধী পার্টি জামায়াতে ইসলামী আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার এটি একটি রাজনৈতিক চাল। জামায়াত অথবা তার সঙ্গে মতাদর্শগতভাবে সম্পৃক্ত কোনো দলকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না দেয়ার দাবি আমাদের।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি নামে একটি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, যাদের নেপথ্যে জামায়াত নেতারাই রয়েছেন বলে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যদিও এর কিছুই গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে স্বীকার করেননি নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়া দলের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিডিপি বা বাংলাদেশ ডেভেলমেন্ট পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং এখনও আছেন। সংগঠনটির গঠনতন্ত্রে যা-ই লেখা থাকুক, এটা মানবিক-বিবেকবান সব নাগরিকই জানেন যে, এই পার্টি মূলত জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এজেন্ডাই বস্তবায়ন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রজন্ম ’৭১ সোমবার নির্বাচন কমিশন বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়ে বিডিপির নিবন্ধনের আবেদন বাতিলের দাবি জানাবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আসিফ মুনীর বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছি। সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
২৬ অক্টোবর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ভেঙে গেছে, ভেঙে গিয়ে আরেকটা দল গঠন হয়েছে। মনে করেন একটা ‘জেড’ দল ছিল, ভেঙে গিয়ে ‘ওয়াই’ দল গঠন করেছে। ওই দলকে তো আর আগের দল হিসেবে বলার সুযোগ নেই। তবে দেখতে হবে তারা শর্ত পূরণ করতে পারছে কিনা।’
এ প্রসঙ্গে আসিফ মুনীর বলেন, ‘আমাদের মূল বক্তব্য হলো জামায়াত অথবা জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত একই মতাদর্শের যারা রয়েছে তাদের যেন কোনোভাবেই নিবন্ধন না দেয়া হয়। যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে তাদের কয়েকটির ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ ড. আজহারুল হকের স্ত্রী সালমা হক, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী অ্যারোমা দত্ত ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস।