বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই টাকায় চিকিৎসা

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৫২

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘নিম্নবিত্ত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দাতব্য চিকিৎসালয়টির প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ স্থায়ীভাবে মেডিক্যাল অফিসার রাখা ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। এখানে নিম্নবিত্ত মানুষের পাশাপাশি চরাঞ্চলের অনেক অসহায় মানুষ এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন।’

চাঁদপুরে পৌর দাতব্য চিকিৎসালয়ে দুই টাকায় মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে এই দাতব্যলয়ে মিলছে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসালয়টি আরও আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি নিয়মিত মেডিক্যাল অফিসার রাখার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

খেটে খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এক শতাব্দী ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে পরিচালিত এই দাতব্যলয়টি। ১৯২০ সালে চাঁদপুর পৌরসভা পুরানবাজার এলাকায় হয় এ দাতব্য চিকিৎসালয়টি।

আশপাশের বিভিন্ন চরাঞ্চলের অসহায় মানুষ এখানে আসেন চিকিৎসা নিতে। মাত্র ২ টাকার বিনিময় কিংবা ফ্রিও পেয়ে থাকেন প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ। নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে আনন্দিত তারা।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা হিরা রানী বলেন, ‘মাত্র ২ টাকা দিয়ে পৌর দাতব্য চিকিৎসালয়ে আমরা ভালো সেবা পেয়ে থাকি। আমাদের কাছ থেকে ২ টাকা নেয়ও না। একপ্রকার বিনামূল্যে সেবা ও ওষুধ দেয়। জ্বর, সর্দি-কাশি, বাত-ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এখানে আসি। এখানে বেশির ভাগ চরাঞ্চলের রোগী ও দুস্থরা আসেন। তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী গুরুত্ব সহকারে রোগী দেখেন। এখানে যদি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেয়া হয়, তাহলে আমাদের আরও উপকার হবে।’

চাঁদপুর পৌর দাতব্যলয় স্বাস্থ্য সহকারী মোশারফ হোসেন ও বিল্পব রায় জানান, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী চিকিৎসক নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ৫০-৬০ জন রোগী প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। দাতব্যলয়ে আসা রোগীদের সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হয়। একটা সময় এই দাতব্যলয়ে করা হতো ছোটখাট অপারেশন।

কিন্তু গত ৬-৭ বছর যাবত কোন এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় বর্তমানে এই সেবা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া বয়সের ভারে ভবনটিও আজ ঝুঁকিপূর্ণ। দেয়ালে ফাটলসহ ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা।

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘নিম্নবিত্ত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দাতব্য চিকিৎসালয়টির প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ স্থায়ীভাবে মেডিক্যাল অফিসার রাখা ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। এখানে নিম্নবিত্ত মানুষের পাশাপাশি চরাঞ্চলের অনেক অসহায় মানুষ এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন।

‘দাতব্যলয়টিতে বছরে ১৫-২০ হাজার রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। এসব রোগীর সেবা ও ওষুধ নিশ্চিতে বছরে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করছে চাঁদপুর পৌরসভা।’

এ বিভাগের আরো খবর