জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী মো. ইব্রাহিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে গত ৯ নভেম্বর জামিন পান ওয়াদুদ। রোববার দুপুরে তিনি ফরিদপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আইনজীবী মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘এ পর্যন্ত সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা হয়। তার সব কটিতে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন তিনি।
‘সবশেষ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।’
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
সে সময় তিনি দৌড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ছাড়া এলেম শেখ ও তার স্ত্রী জয়গুন বেগমকে মারধর করা হয়। পরে এ বিষয়ে ৯ জুলাই ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি মামলা করেন জয়গুন বেগম।
ওই মামলায় ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিমিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই মামলায় অন্যদের জামিন হলেও জামিন পাননি ওয়াদুদ। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু মামলা করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
সবশেষ সালথার আলোচিত সহিংস তাণ্ডব মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেখানে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ওয়াদুদ মাতুব্বর। কয়েক দফা ফরিদপুর জজ কোর্ট ও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন নামঞ্জুর হয় তার। অবশেষে ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে তার জামিন হয়।