বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগে সাম্প্রদায়িকতা লালন-পালন হচ্ছে: রানা দাশ

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০৪

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও আমরা নিরাপদ নই। আওয়ামী লীগের ভেতরও সাম্প্রদায়িকতা লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ধর্ম পালন করব, কিন্তু ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি হোক তা চাই না। ধর্মের এই ব্যবহার রুখতে হবে এখনই।’

আওয়ামী লীগের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা লালন-পালন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু ও বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও আমরা নিরাপদ নই। আওয়ামী লীগের ভেতরও সাম্প্রদায়িকতা লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ধর্ম পালন করব, কিন্তু ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি হোক তা চাই না। ধর্মের এই ব্যবহার রুখতে হবে এখনই।’

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, ‘ধর্মান্ধ জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। ধর্মীয় যত সংগঠন রয়েছে সব তাদেরই ডালপালা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হলেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করা তাদের একটি কাজ।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর বলেন, ‘জামায়াত সাধারণ মানুষকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। তারা মেধাবী তরুণদের ভুল পথে নিচ্ছে ধর্মকে ব্যবহার করে। এসব ধর্ম ব্যবসায়ীর বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’ জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা তোলার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন রানা দাশগুপ্ত।সংগঠনের জেলা সভাপতি বাবু খোকা রাম রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায়।বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা আহ্বায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায় ও উদীচী জেলা সভাপতি মনসুর ফকির।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বাবু খোকা রাম রায়কে সভাপতি ও মৃণাল কান্তি রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর