বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিলিয়ার্ড খেলার দ্বন্দ্বে যুবক হত্যায় গ্রেপ্তার ৫

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১৫

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হত্যার পরপর শুক্রবার রাতেই বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন শহরের নামাজগড় ভূষিপট্টির বাসিন্দা ও বিলিয়ার্ড ক্লাবের মালিক ৩২ বছরের আরিফ হাসান, শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার ১৯ বছরের দীপঙ্কর রায় ও ২০ বছরের সাহিল, দক্ষিণ কাটনার পাড়ার ২৭ বছর বয়সী শাকি আল মামুন এবং ফুলবাড়ী দক্ষিণ পাড়ার ২২ বছর বয়সী শোহাইব নবী।

গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকুও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

থানা সূত্র জানায়, নিহত যুবকের নাম জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল। শুক্রবার রাতে বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি শহরের বাদুরতলা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

বিপুল হত্যার ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের ভাই মোহাম্মদ শামিম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকেরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার যুবকদের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘শুক্রবার রাতে নামাজগড় এলাকায় ব্রেক এন রান নামে বিলিয়ার্ড ক্লাবে গ্রেপ্তার যুবকেরা পুল খেলছিল। এ সময় বিপুল ও তার কয়েক বন্ধু সেখানে এসে ওই যুবকদের পুলের বোর্ড ছেড়ে দিতে বলে। তারা ছেড়ে না দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার যুবকেরা বিপুলকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।’

এদিকে নিহতের ভাই শামিম জানান, ওই পুলে বিপুল আগে থেকেই খেলছিলেন। কিছু সময়ের জন্য নিচে গেলে হত্যাকারীরা পুলটি দখল নিয়ে খেলা শুরু করেন। এ জন্য তাদের ছেড়ে দিতে বললে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে তারা বিপুলকে মারধর এবং ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

এ বিভাগের আরো খবর