বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভূঁইয়া নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক মো. শামীমুর রহমান বলেন, ‘সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে জোরদার ভূমিকা না রাখতে পারে সে জন্য বেছে বেছে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
'নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই সরকার খুনিদের বিচার করবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তানুসহ সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খুনের বিচার করব।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘তানু ভূঁইয়া রাজপথের সংগ্রামী নেতা ছিলেন। এর আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো দুর্বৃত্তরা নয়, সরকারদলীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
শুক্রবার রাত ৯টার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভূঁইয়া বাসাবাটি বগা ক্লিনিক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন।
তাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
৩৭ বছর বয়েসী তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার ছেলে।
একই এলাকার ফরিদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফরিদসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।