এই শো এর মূল আকর্ষণ বিড়াল। মূলত তাদেরই প্রতিযোগিতা। তাই সাজিয়ে-গুছিয়ে আদুরে এসব বিড়ালকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন মালিকরা।
শুক্রবার ব্যতিক্রমী এই ‘ক্যাট শো’ এর আয়োজন করা হয়েছে বরিশালে।
বিশ্বের নানা দেশে পোষা প্রাণীদের নিয়ে এমন আয়োজন করা হলেও দেশে এ ধরনের ঘটনা বিরল।
‘ক্যাট/পারসিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বরিশাল’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ এই শো-এর আয়োজন করে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর বরিশাল নগরীর বাঁধ রোডস্থ ইউরো কনভেনশন হলে আয়োজিত ওই শোতে দেশি-বিদেশি ৫০টি বিড়াল অংশ নেয়। পরে ৭টি ক্যাটাগরির বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয় এসব বিড়াল। আর ৩টি ক্যাটাগরিতে টিকিট বিক্রি হয় অনুষ্ঠানের।
আয়োজক সংগঠনটির ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন আবির বিন মিজান জানান, বিড়াল নিয়ে এমন আয়োজন করতে পেরে তারা খুব খুশি। প্রতি বছরই তাই এই আয়োজনটি করতে চান।
এদিকে আয়োজনে অংশ নেয়া বিড়াল মালিকদের মাঝেও দেখা গেছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। তারা আহ্বান জানান, অসহায় প্রাণীদের কেউ উপকার না করলেও যেন ক্ষতি না করে।
শেহতাজ রহমান নামে এক তরুণী বলেন, ৭ মাস ধরে পার্সিয়ান জাতের একটি বিড়াল পালন করছি। এতে আমার বেশ ভালোই লাগছে। রাস্তায় অনেকে বিড়াল দেখলে ইট ছুড়ে মারে বা নানাভাবে বিরক্ত করে। কিন্তু এটা করা ঠিক নয়। এরা অবলা প্রাণী।’
শো তে অংশ নেয়া একটি বিড়ালবিড়াল মালিকদের পাশাপাশি শোটিতে ছিল দর্শনার্থীদেরও উপস্থিতি।
ব্যতিক্রমী এই শো দেখতে আসা তানজিলা আক্তার বলেন, ‘এমনটি জীবনে প্রথম দেখলাম। সাজগোছ করা বিড়ালগুলো দেখে দারুণ আনন্দ পেয়েছি।’
মাহাদ হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘এত বিড়াল কখনোই একসঙ্গে দেখা হয়নি। সবই বেশ মায়াবী ছিল।’
ক্যাট শো এর বিচারক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. দীবেন্দ্যু বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষের মানসিক ও শারীরিক দুই দিক থেকেই স্বস্তি দরকার। সে হিসেবে যারা বিড়াল পছন্দ করে, তারা এই প্রাণীটি পুষে মানসিক শান্তি পায়।’
ক্যাট শো এর প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বলেন, ‘এই আয়োজন মানুষকে প্রাণীদের প্রতি আরও সদয় করবে।’
ক্যাট শোতে বিড়ালদের খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতা ও র্যাম্প শোসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। ছিল বিড়াল পালনে প্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্রের দোকানও।
আয়োজক ‘পারসিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বরিশাল’ নামে ফেসবুক গ্রুপটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিড়ালপ্রেমী এ গ্রুপের সদস্য।’