বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ৪৭ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২১

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহটি পাওয়া যায় শুক্রবার বিকেলে। পরে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করলে মরদেহটি তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।’

পঞ্চগড় বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৪৭ দিন পর শ্রীমতি জয়া রানী নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মরদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ জনে।

শুক্রবার বিকেলে জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নে করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

উদ্ধার হওয়া মৃত শিশুটি সদর উপজেলার কাজলদীঘি ইউনিয়নের ঘাটিয়ার পাড়া এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের সন্তান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আউলিয়ার ঘাট এলাকায় ঘটনাস্থলের পাশেই বালু উত্তোলন করেছিল ওই এলাকার কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় তারা একটি গন্ধ পান। পরে নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় একটি গলিত মরতেহ বের হয়ে আসে।

এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা শ্রমিকরা স্থানীয়দের খবর দেন এবং বালুর নিচ থেকে মরদেহটি তীরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে বোদা উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে শিশুটির বাবা-মা ও স্বজনরা শ্রীমতি জয়াকে শনাক্ত করলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে শিশুটির বাবা ধীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আমরা স্ত্রী শাশুড়ী, শালিকাসহ আমার আদরের দুই মেয়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজায় যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। এতে আমার শালিকা ও শাশুড়ী মারা যান এবং আমার দুই মেয়ে নিখোঁজ হয়৷

‘নিখোঁজের কয়েকদিন পর ছোট মেয়ের মরদেহ পেলেও বড় মেয়ের মরদেহ পেলাম ৪৭ দিন পর।’

মেয়ের মরদেহের সৎকারের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানালেন ধীরেন্দ্রনাথ রায়।

এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহটি পাওয়া যায় শুক্রবার বিকেলে। পরে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করলে মরদেহটি তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।’

ইউএনও জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় ৭২ জন মানুষ নিখোঁজ হন। এর মধ্যে টানা কয়েকদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা।

সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর ৪৫ দিনের মাথায় ভূপেন্দ্রনাথ রায় পানিয়ার মরহেদ উদ্ধার করা হয়। সুরেন নামে একজনের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর