কুমিল্লার ময়নামতি কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করলেন সাত দেশের হাইকমিশনার ও প্রতিনিধি।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তারা সমাধিস্থলে গেলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিউগলের সুর বাজানো হয়।
এর আগে পবিত্র কোরআন ও বাইবেল থেকে পাঠ করে সৈনিকদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। করোনামহামারির কারণে দুই বছর এই স্মরণ সভার আয়োজন বন্ধ ছিল।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের নেতৃত্বে স্মরণ সভায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাশ, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, পাকিস্থানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার আব্বাস খোখার, ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার এম এস সাবারওয়াল, কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসির প্রতিনিধি ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাব্বি আহসান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজল হোসেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবাট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করতে আমরা প্রতি বছর নভেম্বরে এখানে হাজির হই। নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। আমরা নিরবতা পালন করি। আজও আমরা তাই করেছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাশ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার বীর শহীদদের মনে রাখে। প্রতি বছর নভেম্বরে আমরা যোদ্ধাদের স্মরণ করি।’ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৭ সেনাকে এই সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়। এদের মধ্যে ৫৬৭ জন নাবিক, ১৬৬ জন বৈমানিক ও ৩ জন সৈনিকের সমাধি রয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৩৫৭ জন, কানাডার ১২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের ৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১ জন, অবিভক্ত ভারতের ১৭১ জন, রোডেশিয়ার ৩ জন, পূর্বআফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, বার্মার ১ জন, বেলজিয়ামের ১ জন, জাপানের ২৪ জন এবং পোল্যান্ডের ১ জনের সমাধি রয়েছে।