বন্দর চেয়ারম্যান ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছে লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন।
লাইটারেজর জাহাজে লোড-আনলোড ও সেইলিংসহ সব কর্যক্রম বন্ধ করে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেন তারা।
ধর্মঘটের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নবী আলম বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের আপত্তি সত্ত্বেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চরপাড়া ঘাট ইজারা দিয়েছে। ইজারাদারদের আর্থিক ও শারীরিক অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিকরা চরপাড়াঘাট ত্যাগ করে পারকির চরে আশ্রয় নিয়েছে। তবুও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা না নিয়ে বরং বন্দর কতৃপক্ষ পারকির চর থেকে সকল জাহাজ চরপাড়া ঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি শুরু করেন।
‘নৌযানের নাবিকরা কিনারে নামার পর চাইনিজ ঘাট থেকে জাহাজে ওঠার সব ধরনের ট্রলার ও স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছেন। এ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বন্দর চেয়ারম্যান আর ইজারাদার জাহাজের নাবিকদের মানুষ ভাবছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অপমান অত্যাচার বন্ধ না করে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নৌযানের শ্রমিকদের বন্দর ব্যবহারের সুযোগকে বাধাগ্রস্থ করে চলেছেন। তাই চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, পতেঙ্গা থানার ওসিকে প্রত্যাহার, লোড ও খালি জাহাজ সার্ভে করা এবং সাঙ্গু নদীর মুখ ড্রেজিং করে পরিষ্কার করার দাবিতে শুক্রবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রামে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।’
লাইটারেজ জাহাজ দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে পণ্য পরিবহন ও গভীর সমুদ্রে নোঙর করা মাদার ভেসেল থেকে আমদানি করা পণ্য খালাসে ব্যবহার হয়ে থাকে।
সম্প্রতি চরপাড়া ঘাটে লাইটার জাহাজ সংশ্লিষ্ট একাধিক শ্রমিককে মারধর করে ইজারাদারের লোকজন৷ এতে শ্রমিকরা সেখান থেকে নিজ নিজ নৌ-যান নিয়ে পারকীর চরে চলে যান। বন্দর কর্তৃপক্ষ পারকীর চর থেকে ফের চরপাড়ায় যাওয়ার নির্দেশ দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শ্রমিকরা।