বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ডিজিটাল ব্যানার বানানোর ধুম

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:০৪

শহরের স্বর্ণ কুটির বিপণিবিতানের বন্ধন ডিজিটাল সাইন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ইসলামুল হক বলেন, ‘১০ দিনে প্রায় ৫ হাজার ব্যানার ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। এর সবই বিএনপির সমাবেশ সফল করার বার্তা দিয়ে বানানো।’

ব্যানার তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিজিটাল ব্যানারের দোকানিরা। শনিবারের বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরেই তাদের ব্যস্ততা।

দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় নেতাদের ছবির সঙ্গে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার টানিয়েছেন শহরে। এসব ব্যানারে ১২ নভেম্বরের গণসমাবেশকে সফল করার জন্য সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল ব্যানার প্রস্তুত করে এমন দোকানে ঘুরে দেখা যায়, গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে কর্মচারীদের। অত্যন্ত ব্যস্ততায় সময় কাটছে দোকানগুলোর কর্মচারীদের।

শহরের ভাঙ্গারি পট্টির আইবি ডিজিটাল সাইন নামের প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ডিজাইনার ইমরান বিশ্বাস বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে ডিজিটাল ব্যানারের কাজ হাতে নেয়ার পর কোনো রকম কাজ করে টিকে ছিলাম। গত ১০ দিনে অনেক কাজ পেয়েছি। এখনো কাজ আসছে। শুক্রবার কাজের চাপ থাকবে। দোকান খোলা রাখব।’

দোকানিরা জানান, ১৮ থেকে ২২ টাকা ফুট হিসেবে ডিজিটাল ব্যানার প্রিন্ট হচ্ছে। কাপড়ের ব্যানার লিখতে সময় লাগে। এ ছাড়া নানা সীমাবদ্ধতায় এখন জনপ্রিয় অবস্থানে আছে ডিজিটাল ব্যানার।

বিএনপির সমাবেশে বেশি চলছে কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো তিন ফুট লম্বা ও দুই ফুট চওড়া এবং চার ফুট লম্বা ও আড়াই ফুট চওড়া ব্যানার।

শহরের স্বর্ণ কুটির বিপণিবিতানের বন্ধন ডিজিটাল সাইন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ইসলামুল হক বলেন, ‘১০ দিনে প্রায় ৫ হাজার ব্যানার ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। এর সবই বিএনপির সমাবেশ সফল করার বার্তা দিয়ে বানানো।’

ডিজিটাল প্লাস ডিজাইন অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের ব্যানার প্রিন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মী রাকিব মাতুব্বর বলেন, ‘গত ছয় দিনে আমরা তিন হাজারেরও বেশি ব্যানার প্রিন্ট করেছি। সবচেয়ে বেশি অর্ডার গেছে গতকাল। আজও হাতে প্রচুর কাজের চাপ।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির গণসমাবেশস্থল কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের মাঠের এক পাশে চারজন কাঠমিস্ত্রিকে কাজ করতে দেখা যায়। তারা ডিজিটাল ব্যানার কাঠের ফ্রেমবন্দি করে টানানোর কাজ করছিলেন।

শহীদ শেখ নামে একজন বলেন, ‘আমার চারজন ব্যানারগুলো কাঠের ফ্রেমে আটকে দেয়ার কাজ পেয়েছি। এলাকায় কাজ করলে আমরা দিনে যা আয় করি, এখান থেকে তার চেয়ে বেশি আয় করতে পারছি।’

এ বিভাগের আরো খবর