ঢাকার সাভারে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর ভিকটিম শিশুটির পরিচয় ও ছবিসহ আসামির ছবি সাভার মডেল থানার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে। অথচ ধর্ষণের শিকার কারও পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করা আইনত অপরাধ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘সাভার মডেল থানা, ঢাকা-Savar Model Police Station, Dhaka’ নামক ফেসবুক পেজে ছবি দুটি প্রকাশের পর তীব্র সমালোচনার মুখে ৩৬ মিনিট পর তা সরিয়ে নেয়া হলেও অভিযুক্ত পিতার ছবিটি দৃশ্যমান।
এদিকে ভিকটিম ও অভিযুক্ত পিতার ছবি পুলিশের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হলে নেটিজেনরা পোস্টটিতে কমেন্ট করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ সময় অনেকেই পুলিশের প্রতি ভিকটিমের ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সাভার মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিকদার হারুন উর রশিদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়টি মূলত থানার কম্পিউটার অপারেটর আনিস দেখে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ভিকটিমের ছবি তো দেয়া যাবে না। অবশ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা যায়।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।