বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১২ ডিসেম্বর ঠিক করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে মামলার এজাহার আসে। বিচারক তা গ্রহণ করে রামপুরা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এদিন একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরা এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা নূর উদ্দিন রানা। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত হয়।
১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিন রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে নৌ পুলিশের টিম গিয়ে বনানী ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ৮ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’