বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফারদিন হত্যা: বুশরা গ্রেপ্তার হলেও মোটিভ জানে না পুলিশ

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৬

বুয়েটছা্ত্র ফারদিনের বাবা মামলার এজাহারে বলেছেন, ‘শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়ে ফারদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আমাতুল্লাহ বুশরার সঙ্গে ছিল। প্রথমত তারা দুজন সিটি কলেজ এলাকায় মিলিত হয়েছে এবং পরে নীলক্ষেত, ধানমন্ডি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। পরে বিকেলে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে তারা খাবার খায়।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে বুধবার রাতে বুশরাকে আসামি ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বুশরার ইন্ধনে পরশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরশ নিখোঁজ হওয়ার দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বুশরার সঙ্গে ছিলেন।

নূর উদ্দিন রানা এজহারে অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশ ডেমরার বাসা থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উদ্দেশে বের হয়। সে পুরকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় দিয়ে ৫ নভেম্বর দুপুরে বাসার ফেরার কথা ছিল।

‘কিন্তু ৫ নভেম্বর শনিবার ফারদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে না যাওয়ায় তার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তার ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকাল থেকেই তার ফোন বন্ধ ছিল। পরে আমরা বিষয়টি শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জানতে পারি।’

‘ফারদিনকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধুবান্ধবসহ সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

‘পরে আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বাসা থেকে বের হয়ে ফারদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আমাতুল্লাহ বুশরার সঙ্গে ছিল। প্রথমত তারা দুজন সিটি কলেজ এলাকায় মিলিত হয়েছে এবং পরে নীলক্ষেত, ধানমন্ডি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। পরে বিকেলে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে তারা খাবার খায়।’

এজাহারে তিনি আরও বলেন, ‘খাবার খেয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়েছে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিকশা করে তারা রামপুরা থানাধীন টিভি ভবনসংলগ্ন এলাকায় আসে।

‘তিন দিন খোঁজাখুঁজির পরে ৭ নভেম্বর বিকেলে আমার ছেলের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নৌ-পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার করেছে। এই খবর পেয়ে আমি আত্মীয়স্বজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ছেলে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ শনাক্ত করি।’

এজাহারে ফারদিন পরশের বাবা অভিযোগ করেন, আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধনে ৪ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে রামপুরা এলাকায় অথবা অন্য কোনো স্থানে ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এজহারে লেখা হয়েছে: ‘আমার পুত্র ফারদিন নূর পরশের নিখোঁজ ও মৃত্যুতে আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।’

এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। হত্যা এবং হত্যার পর মরদেহ গুম করার অভিযোগ মামলা হয়েছে। মামলায় একমাত্র এজাহারনামীয় আসামি বুশরা। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করেন। এ মামলায় রামপুরা এলাকা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ফারদিনকে হত্যার মোটিভ জানতে পারিনি। এ ছাড়া বুশরার সঙ্গে ফারদিনের কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, সেটিও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই বিষয়ে ডিটেলস তদন্ত করা প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর