বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে দেয়া হচ্ছে।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় তার এক বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন বুয়েটছাত্রের বাবা নূর উদ্দিন রানা। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত হয়।
ওসি আরও জানান, বুশরাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
ফারদিন রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নুর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে নৌ পুলিশের টিম গিয়ে বনানী ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ৮ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
‘আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’