বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের সময় শেষ, সংসদ ভেঙে দিন: রিজভী

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:১০

রিজভী বলেন, ‘জনতার হাতে স্টিয়ারিং। মাফিয়া সরকার ও তাদের পোষ্যরা কোনোক্রমেই রুখতে পারবে না এই গণজোয়ার। জনগণের লক্ষ্য বিজয়। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে যেখানে যে বাধা আসবে তা প্রতিহত করেই এগিয়ে যাবে তারা। এবার আন্দোলনের সুনামি হবে। সেই সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের সময় শেষ। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যান।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আতঙ্কিত ও শিহরিত জনপদে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন প্রতিদিনই আমাদের নেতাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তুলে নিয়ে কয়েক দিন গুম রাখার পর গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। জামিন বাতিল করে জেলে পুরছে আমাদের নেতাদের।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘সারা দেশে প্রতিদিন বিএনপির নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে আওয়ামী পুলিশ। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযানকালে হয়রানি, দুর্ব্যবহার করছে। নারীদের অপদস্ত করছে। ১২ বছর আগে মারা যাওয়া ফরিদপুরের সাবেক কমিশনার ও শহর বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া আলীর বাড়িতে মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যিনি এক বছর আগে মারা গেছেন তার বাড়িতে সাদা পোশাকধারী লোকজন হানা দিয়েছে। অভিযানকালে নারীদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে পুলিশ।’

তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে গণগ্রেপ্তার করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নগরকান্দায় সাতজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফরিদপুরে অন্তত ছয় নেতার বাড়িতে অভিযানের নামে হয়রানি করেছে পুলিশ।

বিএনপির প্রতিটি বিভাগীয় গণসমাবেশকে বানচাল করতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘পথে পথে হামলা করা হচ্ছে। মামলা করছে, গ্রেপ্তার করছে। তাতে কী শেখ হাসিনা রুখতে পারবে এই জনতার সাগরে ওঠা টালমাটাল জোয়ার? বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের অনুকূল সমাজভূমি বলে কিছু নেই। এখানে ফ্যাসিবাদ বেশিদিন টিকতে পারবে না।

‘বাংলাদেশের মসনদ শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সুতরাং গণভবন তার চিরস্থায়ী নিবাস হবে না। হুমকি-ধমকি, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, গুম-খুনে এবার আর কাজ হবে না। আপনারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন যত দ্রুত অনুভব করবেন ততই আপনাদের মঙ্গল।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘দুই মাস আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব খোশ মেজাজেই ছিলেন। তার এই সুবচন নির্বাসনে গেল কদিন পরই। এই অমিয় বচন উবে গেল। যখন তিনি দেখলেন জনগণ রাজপথে নেমেছে। চোখে সরষে ফুল দেখতে শুরু করলেন তিনি।’

‘জনতার হাতে এখন স্টিয়ারিং’

রিজভী বলেন, ‘এখন সরকারকে বুঝতে হবে অতীতের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবারের আন্দোলনের মাত্রা হবে ভিন্ন। এবারের আন্দোলনে নতুন ডাইমেনশন তৈরি হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের কারণে সারা দেশে একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হয়েছে। তার নেতৃত্বে জনগণের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণে আন্দোলন এখন গণমুখী।

‘জনতার হাতে স্টিয়ারিং। মাফিয়া সরকার ও তাদের পোষ্যরা কোনোক্রমেই রুখতে পারবে না এই গণজোয়ার। জনগণের লক্ষ্য বিজয়। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে যেখানে যে বাধা আসবে তা প্রতিহত করেই এগিয়ে যাবে তারা। এবার আন্দোলনের সুনামি হবে। সেই সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর