বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানের সারচার্জ মওকুফ ঠিক হবে না: বেবিচক

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১১:২২

বিমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা এক নির্দেশে বেবিচককে বিমানের ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বকেয়া সারচার্জ মওকুফ করা ঠিক হবে না বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে এক চিঠিতে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা এক নির্দেশে বেবিচককে বিমানের ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে সারচার্জ মওকুফ না করার পেছনের কারণ তুলে ধরা হয়। এই চিঠিতে আশঙ্কা জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেছেন, সারচার্জ মওকুফ করা হলে সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়তে পারে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পত্রে সংযুক্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের পত্রে বর্ণিতক্রম পুঞ্জিত বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে; যা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিমানের কাছে বেবিচকের ক্রমপুঞ্জিত বকেয়া ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তন্মধ্যে মূল বিল বাবদ ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ ৪৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বকেয়া রাজস্বের উপর অতিরিক্ত চার্জ (সারচার্জ) বাবদ ৬ হাজার ৬৬১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

‘বেবিচক বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ অর্থায়ন, সরকারি ঋণ ও অনুদান অর্থায়নসহ নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। তন্মধ্যে জাইকার ঋণ অর্থায়নে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অনুকুলে ইতোমধ্যে সম্পাদিত ২টি ঋণ চুক্তির বিপরীতে ১৬ হাজার ৯০২ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করতে হবে। ওই প্রকল্পের জাইকার ঋণের প্রথম কিস্তির আসল ও সুদ বাবদ ১৩০২ কোটি টাকা ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী বছরগুলোতে ডিএসএল বাবদ গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষের জনবলের বেতন ভাতা, পরিচালন ব্যয়, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় সহ নিজস্ব অর্থায়নে বাবায়নাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ এবং এনটিআর ও আয়কর পরিশোধে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে।

‘উপর্যুক্ত পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরবচ্ছিন্ন ক্যাশ ফ্লো অব্যাহত রাখার নিমিত্তে বিমানের কাছ থেকে প্রতি মাসের চলতি বিলের অর্থ যথাসময়ে আদায় এবং ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত পাওনা/বকেয়া রাজস্ব ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা জরুরি ভিত্তিতে আদায়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এই অবস্থায়, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বৈদেশিক ঋণ অথায়ন ও সরকারী ঋণ অথায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন-ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে এনটিআর ও আয়কর পরিশোধের নিমিত্ত নিরবচ্ছিন্ন ক্যাশ ফ্লো অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিমানের নিকট বেবিচকের পাওনা রাজস্বের মূলবিলের অর্থসহ 'বিলম্বে বিল পরিশোধ জনিত অতিরিক্ত চার্জ (সারচার্জ)' বাবদ পাওনা রাজস্ব মওকুফ করা সমীচীন হবে না। বিধায় বিমানের কাছে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বেবিচকের পাওনা ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আদায়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পুনঃসদয় হস্তক্ষেপ কামনা করা হলো।’

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পুঞ্জীভূত বকেয়া ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা মওকুফ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। গত ৫ নভেম্বর বিমান কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাখিল করা সব ধরনের ল্যান্ডিং, পার্কিং, নেভিগেশন বিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রী টিকিটের সঙ্গে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ এম্বারকেশন ফি, বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও যাত্রী নিরাপত্তা ফি নিয়মিত বেবিচককে পরিশোধ করে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর