বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাতে ফিরবে নতুন প্রজাতির মহাশোল

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:০৬

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাছটি দামি ও আকারে বড় হওয়ায় বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে। এতে এর প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে শিগগিরই গবেষণা শুরু করা হবে। মহাশোলের অন্যান্য প্রজাতি নিয়ে ইনস্টিটিউটের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ পোনা উৎপাদন করে সারা দেশের চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে।’

সুস্বাদু, আকর্ষণীয় ও বড় আকারের বিলুপ্তপ্রায় নতুন প্রজাতির মহাশোলের সন্ধান পেয়েছেন ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। নতুন এ প্রজাতির প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে শিগগিরই গবেষণা শুরু হবে। বিপুল পরিমাণ পোনা উৎপাদন করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া বলে জানিয়েছেন তারা।

বিএফআরআই সূত্রে জানা যায়, ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কালের বিবর্তনে সুস্বাদু এ মাছটি ছিল বিলুপ্তপ্রায়। পরে ২০১৫ সালে বিএফআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা মহাশোলের কৃত্রিম প্রজনন উদ্ভাবন করে চাহিদার জোগান দেয়। তবে এবার বান্দরবানের সাঙ্গু নদে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিকভাবেই বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এ মাছটির নতুন প্রজাতির সন্ধান পায়।

গবেষকরা জানান, এক বছর আগে খবর পেয়ে বিএফআরআই রাঙ্গামাটি উপকেন্দ্র মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় সমীক্ষা পরিচালনা করে। পরে সন্ধান মেলে মহাশোল আকৃতির মাছের। মাছ সংগ্রহের পর এর বাহ্যিক গঠন ও অন্যান্য দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, এর আঁশ মহাশোলের মতো হলেও পাখনার রং দেশের অন্যান্য প্রজাতির মহাশোলের মতো হলদে নয়। মুখটিও অপেক্ষাকৃত সরু। পরে প্রজাতি শনাক্তের জন্য ডিএনএ বারকোডিং করা হয়।

কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণায় ওই নমুনায় Tor barakae-এর রেফারেন্স জিনোমের শতভাগ মিল পাওয়া যায়।

বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহা আলী নিউজবাংলাকে জানান, স্থানীয়ভাবে ফড়ং বা মিকিমাউ নামেও পরিচিত এ মাছটি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tor barakae। এর আগে দেশে মহাশোলের দুটি প্রজাতি ছিল। নতুন প্রজাতির মাছটির ওজন হবে ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত। খেতে বেশ সুস্বাদু। নতুন এ প্রজাতির সন্ধান পাওয়ায় দেশে মিঠাপানির মাছের সংখ্যা হবে ২৬১টি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাছটি দামি ও আকারে বড় হওয়ায় বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে। এতে এর প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে শিগগিরই গবেষণা শুরু করা হবে। মহাশোলের অন্যান্য প্রজাতি নিয়ে ইনস্টিটিউটের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ পোনা উৎপাদন করে সারা দেশের চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর