বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওল্ড হোমে থাকবেন হেলাল হাফিজ

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ২২:২৬

কবির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কালচারাল অ্যাক্টিভিস্ট এরশাদুল হক টিংকু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কবি অন পেমেন্টে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন। ওই রুমটা ফাঁকা না থাকায় তিনি অল্টারনেটিভ কিছু খুঁজছিলেন। উনি তো ফ্যামিলির কাছেও যেতে চান না। আপাতত ২০ দিনের জন্য তাকে একটা ওল্ড হোমে রাখার বিষয়টি ফাইনাল হয়েছে। শনিবার থেকে তিনি সেখানেই থাকবেন।’

চোখ ও কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন ৭৪ বছর বয়সী কবি হেলাল হাফিজ। এসব নিয়ে গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কয়েক দফা বেশকিছু দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে তাকে। ২০ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

হাসপাতাল ছাড়ার পর তিনি কোথায় থাকবেন তা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। করোনা-পরবর্তী সময়ে তিনি উঠেছিলেন রাজধানীর শাহবাগে এক হোস্টেলে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সেটা নিয়েও তৈরি হয় জটিলতা। তারপর থেকে আপাতত তিনি আছেন কবি ইসমত শিল্পীর বাসায়।

এদিকে একা অসুস্থ কবির দেখভাল করা কঠিন হয়ে পড়েছে ইসমত শিল্পীর পক্ষে। এ নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টও দেন তিনি। এরপরই আলোচনায় আসে তাহলে কোথায় থাকবেন হেলাল হাফিজ।

ইসমত শিল্পী বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওনার শরীর ভালো না, বসতেও পারেন। একেবারে খাওয়া আর ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় ওঠেন-বসেন। শারীরিকভাবে তিনি খুবই দুর্বল।’

কবির থাকার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন তো অনেকেই জেনে গেছেন। আসলে দায়িত্ব নেয়া এক জিনিস…। আমিও তো পেশাজীবী মানুষ। এভাবে একা তো ওনার দেখাশোনা করা কঠিন। তাকে চারবার ইনসুলিন দিতে দিয়। প্রেসার নেমে গেল কিনা চেক করতে হয়। সেসব আমিই করছি। আমার কাছে থাকলে তো আমাকে দায়-দায়িত্ব সব নিতে হয়, তা তো সম্ভবও না।’

তিনি বলেন, ‘এখন অনেকেই চেষ্টা করছেন তার থাকার ব্যবস্থা করার জন্য। তবে এখনও মনে হয় ফাইনাল হয়নি কিছু। আমাকে কেউ কিছু এখনও জানায়নি।’

কবির চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত এবং তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কালচারাল অ্যাক্টিভিস্ট এরশাদুল হক টিংকু এ ব্যাপারে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কবি অন পেমেন্টে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন। ওই রুমটা যেহেতু ফাঁকা নেই তাই অল্টারনেটিভ কিছু খুঁজছিলেন।

‘উনি তো ফ্যামিলির কাছেও যেতে চান না। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে ছোট ভাই (হেলাল হাফিজের) ‌ওনাকে নিয়ে যেতে চান ময়মনসিংহে। এ নিয়ে এক ধরনের সেটেলমেন্ট হয়েছে। কিন্তু এই কয়টা দিন ঢাকায় কোথাও তার থাকার জায়গা হওয়াটা জরুরি। আমরা ২০ দিনের জন্য একটা ওল্ড হোমে রাখার প্ল্যান করেছি। সেটা ফাইনালও হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে তিনি সেখানেই থাকবেন।’

টিংকু আরও বলেন, ‘কবির আর্থিক অসঙ্গতির কোনো ঝামেলা নেই। আর এই থাকার ব্যবস্থাটা তার কনসার্ন নিয়েই করা হচ্ছে।’

হেলাল হাফিজের লেখালেখির শুরুটা ষাটের দশকে। ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দেয়।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তার ৩৪টি কবিতা নিয়ে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান হেলাল হাফিজ।

নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর জন্ম নেয়া এই কবির শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে নিজ শহর নেত্রকোণাতেই।

১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর