বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উৎসবে রঙিন চবির মার্কেটিং বিভাগ

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৫৩

বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, ‘সেশনজটের কারণে সব ব্যাচ সময়মতো বের হতে পারে না। তবুও এই উৎসবে তারা নেতিবাচক সব স্মৃতি ভুলে বিভাগের সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়।’

হঠাৎ উৎসবের আমেজ বইছে চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে। সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের কেউ মেঝেতে আঁকছেন আলপনা, কেউ তৈরি করছেন ফেস্টুন। চলছে নাচ-গানের অনুশীলনও।

এই কর্মযজ্ঞে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন অনুজরাও। কারণ রাত পেরোলেই বিভাগের ২৩ তম ব্যাচের ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি’। এই অনুষ্ঠান সফল করতেই এত আয়োজন।

প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বিদায় দেন বিভাগের অনুজ শিক্ষার্থীরা। জমজমাট এই আয়োজন এখন রীতিমতো বিভাগের বার্ষিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নানা আয়োজনে পালন করা হবে এই ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি’। র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হওয়া উৎসবে থাকছে শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা, শিক্ষা জীবনের স্মৃতিচারণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন মজার পর্বও।

বুধবার দুপুরে বিভাগের মূল ভবনের নিচে ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরফাত উদ্দিন মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই ক্যাম্পাসে থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি আমরা। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় কেটেছে এখানে। স্মৃতির ঝুড়িতে জমা হয়েছে অনেক কিছুই। তাই একাডেমিক পড়াশোনা শেষে এই অনুষ্ঠান আমাদের কাছে স্পেশাল কিছু।’

মামুন জানান, পোস্ট গ্রেজুয়েশন সিরেমনির মাধ্যমেই সবাই শেষ বারের মতো একসঙ্গে মিলিত হবে। কথা হবে, সবার সঙ্গে আড্ডা হবে। পুরোনো নানা বিষয়ে মিষ্টিমধুর স্মৃতিচারণ হবে।

বিভাগের ২৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গত ৭ বছরে বন্ধুর মতো ডিপার্টমেন্টের যেসব সিনিয়রের ভালোবাসা পেয়েছি আগামীকাল তাদের প্রিয় এই আঙিনা থেকে বিদায় দেব। আমরা সুন্দর এক আয়োজনের মধ্য দিয়েই এটা করতে চাইছি।’

২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি’ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, ‘সেশনজটের কারণে সব ব্যাচ সময়মতো বের হতে পারে না। তবুও এই উৎসবে তারা নেতিবাচক সব স্মৃতি ভুলে বিভাগের সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। শিক্ষাজীবন শেষে তাদের এখন কর্মজীবনে প্রবেশের সময়। সুন্দর আগামীর জন্য তাই শুভ কামনা।’

এ বিভাগের আরো খবর