বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনিশ্চয়তায় ১৫০ আসনের ইভিএম

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৪০

ইসি আলমগীর বলেন, ‘মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। এলসি খোলার পর সেগুলো দেশে আনতে হবে, কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ব্যাপার আছে। প্রশিক্ষণ দেয়া, ফিল্ডে পাঠানোসহ অনেক কাজ আছে। সে ক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব হয়ে উঠবে না।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়-সংক্রান্ত প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প পাস হতে বিলম্ব হলে অনিশ্চয়তায় পড়বে এ পরিকল্পনা। এ ছাড়া আর্থিক সংকটে বরাদ্দ কমলে নির্বাচন কমিশনকে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।

আগামী বছরের মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। এলসি খোলার পর সেগুলো দেশে আনতে হবে, কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ব্যাপার আছে। প্রশিক্ষণ দেয়া, ফিল্ডে পাঠানোসহ অনেক কাজ আছে। সে ক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব হয়ে উঠবে না।

‘বর্তমানে যে ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টা আসনে ভোট সম্ভব। সেগুলো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে।’

নির্বাচন কমিশন গত ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা

সাত হাজার আটশ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারবেশন দিয়েছে, সেটা বলতে পারবেন প্রকল্প পরিচালক। অবজারবেশনগুলো দেখার পর কমিশন বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা তা বিবেচনায় নেব।’

সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিবে তার ওপরে নির্ভর।

‘সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে, বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। প্ল্যানিং কমিশন জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’

প্রকল্পটি শুধু ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে কমপোনেন্ট আরো ছিল। আগের যে দেড় লাখ ইভিএম ছিল, সেগুলোর গোডাউন করা হয়নি। ইভিএমগুলো স্বল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে, তাতে সেগুলো ভালো থাকবে না। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য গোডাউন করা দরকার।

‘প্রকল্পে গাড়ি কেনার কম্পোনেন্ট ছিল। ইভিএমের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ আছে। ওনারা কোন কম্পোনেন্টে খরচ কমাতে বলেছে, সেটা জানি না। যেটাই হোক অর্থের অপচয় যেন না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।’

বাজেট কমাতে হলে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিঙ্ক্রোনাইজ (সামঞ্জস্য) করতে হবে। দেড় লাখ ইভিএম আছে, সেগুলো রাখার ব্যবস্থাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর যদি দেখা যায় আরও কিছু ইভিএম কেনা সম্ভব, তখন সেটা কিনবো। যদি না হয় তাহলে কেনা হবে না।’

বাজেট অযৌক্তিক ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা কমিটি যাচাইবাছাই করে দিয়েছে। আমরা অনেক কিছু কাটছাট করেছি, যা যৌক্তিক তাই করেছি। ওনারা এখন বলতে পারেন, গাড়ির টাকা কেটে দেন, গোডাউন করতে পারছি না। আপনারা বাড়ি ভাড়া করে রাখেন। তবে ইভিএমের সংখ্যা কমিয়ে দেয় কিনা না, তা না দেখে বলতে পারবো না। এখন বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে হবে না, আসন কমে যাবে।’

‘ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির তেমন কিছু নেই। এর ন্যাচারটাই ভিন্ন। এর আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়েছে, সেগুলো এখন আমরা পুরোদমে ব্যবহার করছি।’

সিঙ্গেল সোর্স হওয়ায় ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নেই জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘যে জিনিসের একটাই সোর্স, তার বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নেই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ডলারের রেট ফ্লাকচুয়েট হওয়ায় এখন দাম বেড়েছে।’

নতুন ইভিএম কেনা সম্ভব না হলে জাতীয় নির্বাচনে আগের ইভিএম ব্যবহার হবে বলে জানান তিনি। যা নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর