বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছেলের মরদেহ পেয়ে খুশি ইয়াছিনের বাবা

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৩৩

ইয়াছিনের স্বজন মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইয়াছিন। ভয়াবহতা বোঝাতে তিনি ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভও করেছিলেন। সেই লাইভ দেখে ফোন করলে ইয়াছিন বলেছিলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতা অনেক। আমার জন্য দোয়া করিস।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পাঁচ মাস পর ছেলের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বদিউল আলম।

বুধবার ডিপো কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মো. ইয়াছিনের মরদেহটি বদিউলকে দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে মরদেহটি বুঝে পেয়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন হতভাগ্য বাবা।

বদিউল বলেন, ‘অনেক আগেই ছেলেকে জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। কয়েকদিন আগেও ছেলের খোঁজখবর নিতে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। তখন জানানো হয়, আরও কয়েকটি মরদেহ আছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে জানানো হবে। নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে ছেলের কবর হবে এটাই সান্ত্বনা।

মো. ইয়াছিন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোর লরিচালক ছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন তিনি। তার বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে। চার বোন তিন ভাইয়ের মধ্যে ইয়াছিন ছিলেন তৃতীয়।

গত ৫ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই ইয়াছিনের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ছেলের খোঁজে বিস্ফোরণের পরপরই সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামে অনেক ছোটাছুটি করেছেন বদিউল আলম। কিন্তু কোথাও কোনো হদিস না পেয়ে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

অবশেষে নিখোঁজের পাঁচ মাস চার দিন পর ছেলের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন বদিউল। ডিএনএ পরীক্ষায় ইয়াছিনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার ডিপোর কর্মকর্তারা বদিউলকে ফোন করে মরদেহটি বুঝে নিতে বলেন।

বদিউল আলম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়িচালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন ইয়াছিন। দুই বছর আগে পদোন্নতি পেয়ে ডিপোর লরিচালক হন।

ইয়াছিনের স্বজন মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইয়াছিন। ভয়াবহতা বোঝাতে তিনি ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভও করেছিলেন। সেই লাইভ দেখে ফোন করলে ইয়াছিন বলেছিলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতা অনেক। আমার জন্য দোয়া করিস।’

কিন্তু বিস্ফোরণের পর তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার লাইভ ভিডিওটি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর