সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আগামী শুক্রবার জনসমুদ্রে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তাদের অপতৎপরতা রুখতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জনসমুদ্রে পরিণত করবে।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বুধবার যুবলীগের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশস্থলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ সমাবেশ হবে তারুণ্য এবং সাহসের, আর অপরদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দেশের অদম্য অগ্রগতির ধারা রক্ষায় সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে যুবলীগ।
‘যুবলীগ বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুবলীগ ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন ও ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রাখা হবে।’
সমাবেশ থেকে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
পরশ বলেন, ‘রাজপথে বিরোধী দলের হুংকার ও সহিংসতা মোকাবিলার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন প্রচারে মাঠে কাজ করবে যুবলীগ। ১০ ডিসেম্বর নয়, যুবলীগ ১২ নভেম্বর থেকেই রাজপথে দখলে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করীম রেজাসহ দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।