৪০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ। এই মসজিদেই গ্রামের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এই মসজিদ থেকে মাত্র দুই ফুট দূরত্বে আরেকটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় গ্রামের একটি পক্ষ। শুরু হয় নির্মাণকাজও।
এ অবস্থায় দুই মসজিদ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না মসজিদ নির্মাণের কাজ। ফলে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাঁচবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ হারিনা নামাপাড়া গ্রামে ওই মসজিদের অবস্থান।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের পাশে আরেকটি মসজিদ নির্মাণের কারণে দুপক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ১ নভেম্বর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত।
এ অবস্থায় নতুন মসজিদটির নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে ৪ নভেম্বর নোটিশ দেয় পাগলা থানার পুলিশ। কিন্তু তা অমান্য করেই গ্রামের বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী, আব্দুর রহিম, হারুনুর রশিদ, মনির হোসেনের নেতৃত্বে মসজিদের নির্মাণকাজ এখনও চলছে।
পুরোনো মসজিদের জমিদাতার নাতি লিয়াকত আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক মসজিদেই সবাই মিলেমিশে নামাজ আদায় করা যায়। কিন্তু ওই পক্ষ আলাদা একটি মসজিদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাত্র দুই ফুট দূরে মসজিদ নির্মাণ চলছে। আদালতের নির্দেশনাকেও মানা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিসহ গ্রামের অনেকেই এত কাছাকাছি মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করলে ওই পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা আমাকেসহ আমার পরিবারকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
নতুন মসজিদ নির্মাণের পক্ষে থাকা ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘মসজিদের পাশে মসজিদ হবে এতে দোষের কিছু নেই। মুসল্লিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারবে। কিন্তু পুরোনো মসজিদের জমিদাতাসহ অনেকে এটি ভালো চোখে দেখছে না।’
এ বিষয়ে স্থানীয় পাঁচবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মাত্র ২ ফুট দূরে নতুন মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে গ্রাম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ডাকা হলেও নতুন মসজিদ নির্মাণকারীরা হাজির হননি। এ অবস্থায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।’
পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই স্থানে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে। তারপরও নির্মাণকাজ চললে তা আদালত অবমাননা। এ অবস্থায় আদালত নির্দেশ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’