রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে।
এ জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে বুধবার মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত তা গ্রহণ করে নতুন তারিখ দেয়।
এদিন এরফান সেলিম আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আগের শর্তে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। তবে কারাগারে থাকা এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর মোটরসাইকেলে করে নিউ মার্কেট থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি সে সময় তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
মামলার অবিযোগে বলা হয়, এরপর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসময় তার স্ত্রীকেও গালাগাল করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে ইরফানের কক্ষে অবৈধ বেশ কিছু ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া একটি অবৈধ পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা হয় হাজী সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সে সময় মাদক রাখার অভিযোগে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।