চুয়াডাঙ্গায় সাপের ছোবলে কারিমুল ইসলাম নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সাপের ছোবলের পর হাসপাতালে না পাঠিয়ে কারিমুলকে ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তার দাদা।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এর আগে সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার বারাদি গ্রামে বাড়ির কাছাকাছি একটি মাঠে কারিমুলের পায়ে সাপে ছোবল দেয়। সে ওই এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
কারিমুলের মা কুলছুম বেগম জানান, সোমবার দুপুরে ওই মাঠে খেলতে গিয়েছিল কারিমুল। এ সময় একটি বিষধর সাপ তার বাম পায়ে ছোবল দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব হওয়ায় আমার চাচাশ্বশুর আব্দুল কাদের আমার ছেলেকে সারিয়ে দেবেন বলে দুদিন ধরে ঝাড়ফুঁক দেন। তিনি আমার ছেলের পায়ের কিছু স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে বিষ বের করারও চেষ্টা করেন।’
কুলছুম জানান, বুধবার সকালে কারিমুলের অবস্থার অবনতি হলে তার চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান আব্দুল কাদের।
এ অবস্থায় কারিমুলকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলার গহেরপুর গ্রামে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে ওই কবিরাজ তাকে সদর হাসপাতালে নিতে বলেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া মা’আরিজ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই কারিমুলের মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, ওই ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।